শীতকালীন সবজি অল্প সময়ে উৎপাদন করে অধিক লাভজনক হওয়ায় দিনদিন এটি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এতে সুদিন ফিরেছে অনেক কৃষকের। এই ফুলকপির চাহিদা ও বাজার দুটোই ভাল থাকার কারণে এর চাষ প্রতি বছরই বাড়ছে। এতে কৃষকও লাভবান হচ্ছেন।
বাজারে আসা ফুলকপি-বাঁধাকপি নভেম্বর মাসে ব্যাপক চাহিদা থাকায় আশানুরূপ দামে বিক্রি হওয়ায় পুঁজির পাশাপাশি দ্বিগুণ লাভের আশা করেন কৃষক। তাই স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে এটি।
ভালো দামের আশায় এবার নভেম্বরের আগেই অক্টোবরের শেষে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আগাম জাতের ফুলকপি-বাঁধাকপি। বাজারে চাহিদা থাকায়, অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় খুশি কৃষক। এতে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
শীতের আগাম সবজি বাজারে কে আগে নিতে পারবে সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ফসলের মাঠে। বিভিন্ন গ্রামে আগাম শীতকালীন মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, টমেটো, লাল শাক, পালং শাক, পুইশাক, লাফাশাক, বরবটিসহ এলাকার কৃষকেরা বাজারে তাদের সবজি বিক্রি করছেন। দিনাজপুরে এখন ফুলকপির মৌসুম অর্থাৎ শীত মৌসুমের প্রধান সবজি ফুলকপি-বাঁধাকপি।
কাহারোলের রাঙ্গাচাটা হাট এলাকার কৃষক স্বাধীন বলেন, প্রতিবছর আগাম জাতের ফুলকপি ও বাধাকপি আবাদ করছি। আগাম সবজি চাষ করা কষ্টসাধ্য হলেও দ্বিগুন লাভ হয়। এবার চারার দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদনে প্রতি বিঘা জমিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘায় সবজি চাষের খরচ বাদ দিলে বিঘা প্রতি এক লক্ষ টাকার বেশি লাভ হয়। চামদুয়ারী গ্রামের কৃষক সাজ্জাত আলী বলেন, প্রতি বছর তিনি আগাম জাতের সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
আগাম ফুলকপি চাষ করে বীরগঞ্জের কৃষক মামুন ও মিলনের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। বাজারে ভালো দাম এবং ভালো ফলনে আগাম ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন তারা।
বীরগঞ্জের কৃষক মিলন জানান, স্থানীয় কৃষি খামার মালিক হতে ফুলকপি জাত-মার্বেল ও আর্লি স্পেশাল বীজ সংগ্রহ করে ৫ বিঘা জমি চাষ করি। চারা রোপনের ৪৫-৫০দিন পর থেকে খেতের ফুলকপি-বাঁধাকপি বিক্রি শুরু করেছি।