গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পরকিয়া ও মাদকের কারনে বেশামাল মোজাম্মল হক। স্বামীর হাত থেকে জীবন
বাঁচাতে পৃথক দুটি অভিযোগ মর্জিনা খাতুনের। সরজমিনে গিয়ে প্রতিবেশী ও স্থানিয় মান্যগন্য ব্যক্তিদের
নিকট থেকে জানা গেছে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাশতলা গ্রামের আঃরহমান এর ছেলে
মোজাম্মল হক নামের এক বখাটের সাথে গত ১০/০২/ ২০২০খ্রিঃ কোটের এফিডেভিট মাধ্যমে বিবাহ বন্ধন
আবদ্ধ হয় ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার আব্দুল মান্নানের মেয়ে মর্জিনা খাতুন। বিয়ের পর মর্জিনা খাতুন
জানতে পারে যে, মোজাম্মল হক একজন ঠক প্রতারক এবং নীল ছবি তৈরিকারী চক্রের সদস্য। মোজাম্মল হক
মর্জিনা খাতুনকে বিয়ের বিয়ের পূর্বে একাধিক মেয়ের সাথে পরকিয়া করে পূর্ণ গ্রাফিক্স ছবি ও ভিডিও বানিয়ে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে তাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে
নিত। এবং সেই টাকা দিয়ে বন্ধুদের সাথে মাদক ও জুয়া আড্ডা বসাতো মোজাম্মল হক। মাদক ও জুয়া খেলার
টাকা না পেয়ে নিজের স্ত্রীর উপর অমানবিক অত্যাচার চালাতো মোজাম্মল হক। তার মাদক ও জুয়া আড্ডা
বসানোর টাকা না পেয়ে নিজের স্ত্রীর ছবি দিয়ে পূর্ণ গ্রাফিক্স ছবি ও ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করতো বখাটে মোজাম্মল হক। এক পর্যায়ে মর্জিনা খাতুন তার স্বামী মোঃ
মোজাম্মেল হকের মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত বছরের ১৪/০৭/ ২০২৪ ইং তারিখ ডিভোর্স
প্রদান করেন। ডিভোর্স দেয়ার পর, মোজাম্মেল হক হিংস্র বাঘের মত আচরণ শুরু করেছে বলে মর্জিনা খাতুন
গাজীপুর জেলার বাসন থানায়,১টি ও শ্রীপুর থানায়, ১টি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পত্রে মর্জিনা খাতুন
বলেন আমি এই প্রতারক নেশাখোর মাতাল মোজাম্মেল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা প্রয়োজন, সে
যেন আর কোনদিন আমার মত অন্য কোন মেয়ের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। আমাদের ঢাকা বিভাগীয়
অফিস সূত্রে জানা যায় যে এমন নেক্যারজনক ঘটনা ঘটেছে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন এম সি বাজার
এলাকায়।