ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১০ এপ্রিল ২০২৫
  1. গণমাধ্যম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভুমিদস্যু সন্ত্রাসী রিপন মিয়াকে ইসলামি অনুষ্ঠানের নাম করে শেল্টার দিচ্ছে ইসলামি শ্রমিক নেতা মুহসিন

Newsfast24
এপ্রিল ১০, ২০২৫ ১১:০১ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

 

“ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের আলোচিত ভুমিদস্যু রিপন মিয়াকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আড়ালে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ দলটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া  জেলা শাখা সভাপতি   ফয়জুল্লাহ মুহসিন – এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে।”

নবীনগর উপজেলার  কাইতলা উত্তর ইউনিয়নে  বসবাসকারী ভূমিদস্যু ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী রিপন মিয়াকে ঘিরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনমত। সম্প্রতি ইসলামি অনুষ্ঠানের ব্যানারে রিপন মিয়াকে প্রধান অথিতি এবং এর পিছনে  ইসলামিক  নেতা মুহসিনের মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন  নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে  এলাকাবাসীর মধ্যে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, রিপন মিয়া একজন কুখ্যাত ভূমিদস্যু। বিগত কয়েক বছরে তিনি একাধিক দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের জমি জবরদখল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, ভয়ভীতি দেখানো, এমনকি সশস্ত্র হামলার মতো একাধিক মামলা থাকলেও অদৃশ্য প্রভাবের কারণে বারবার আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে এসেছেন তিনি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি ইসলামি মাহফিলে রিপন মিয়াকে প্রধান অতিথির করা  হয় যার পিছনে কলকাটি নাড়ছে  স্থানীয় এক প্রভাবশালী ইসলামি নেতা মুহসিন। এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—ধর্মীয় মূল্যবোধের নামে একজন সন্ত্রাসী কীভাবে আশ্রয় ও প্রশ্রয় পেতে পারে?

স্থানীয় নজরুল ইসলাম মেম্বার  বলেন, “রিপন মিয়া আমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। আমি থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখন দেখি ইসলাম ধর্মের আড়ালে তাকে আরও বড় করে তোলা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক।”নবীনগরের আলোচিত ভুমিদস্যু রিপন মিয়াকে

 

অপর এক এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “মুহসিন সাহেব আগে ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু  এখন  তিনি ক্ষমতাবানদের সঙ্গে মিশে গেছেন। রিপন মিয়াকে নিয়ে অনুষ্ঠান করায় আমাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে।”একজন ইসলামিক নেতা যদি টাকা আর ক্ষমতার লোভে অন্যাকারীদের আশ্রয় পশ্রয়দাতা হয় তবে সাধারণ মানুষ কাদের বিশ্বাস করবে । ফয়জুল্লাহ মহসিন মোটা অংকের অর্থের বিনিময় ও ক্ষমতা লাভের আসায় কিছুদিন পর পর ভূমিদস্যু রিপন কে এলাকার মানুষের সামনে ভালো লোক হিসেবে প্রচার চালায় । সে আসলে ইসলামিক লেবাস ব্যবহার করে দালালি করে অর্থ কামাচ্ছে ।

এদিকে মুহসিনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, ইসলামি অনুষ্ঠানটি “শান্তি ও কল্যাণ এর উদ্দেশ্যে আয়োজিত হলেও অতিথি তালিকা তৈরি হয় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায়। মুহসিন নিজে এ বিষয়ে কোনো সরাসরি মন্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তিনি শুধু এটুকু বলেন, “সবারই আল্লাহর রহমত কামনা করা উচিত, কে আগে কী করেছেন সেটা বিচার করার দায়িত্ব আল্লাহর।”

এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি জনসচেতনতা ও ন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ধরণের নীরব সহিংসতা। ধর্মের নামে অপরাধীদের বৈধতা দেওয়ার প্রবণতা সমাজের জন্য ভয়াবহ বার্তা বহন করে।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, ধর্মীয় আবরণে অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে প্রশাসনকে সক্রিয় হতে হবে এবং যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত তাদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।