মাসুদুর রহমান : জামালপুরে সিন্ডিকেট ভাঙতে ন্যায্য মূল্যে কৃষি পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে । শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে ৪র্থ দিনের মতো শহরের ফৌজদারী মোড় চত্বরে বিক্রি করা হয়। গত ২৩ অক্টোবর থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ন্যায্যমূল্যে কিনতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জামালপুর জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা ও জামালপুর কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এসএসিপি এবং আরএআইএন প্রকল্পের পরিচালনায় ন্যায্যমুল্যে কৃষি পন্য বিক্রি করছেন বিশুদ্ধ জামালপুর কৃষি সংগঠনের সদস্যরা।
গিয়ে দেখা গেছে, সরিষার তেল ১৯০ টাকা লিটার ও হলুদ/মরিচ ২৮০ , বেগুন ৫০ , আলু ৫০ , মুখি কচু ৪৫ ,পটল ৪৫ , দুন্দল ৩৫ , ডেড়স ৫৫ ,শসা ৪০, কাচা মরিচ ১৮০ , চিচিংগা ৩৫ টাকা কেজি এবং লাউ ৩৫, লেবু ২, চাল কুমড়া (বড়) ৩৫ ও ছোট ৩০ ,ডিম ১২ টাকা টাকা পিচ দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি পন্য সংগ্রহ করতে আসা কয়েকজনে জানান, ন্যায্য মুল্যে ক্রয় আমরা খুশি ও সন্তুষ্ঠ। বাজারের দামের থেকে অনেক পার্থক্য রয়েছে এখানে। সরাসরি কৃষক থেকে আসায় এদের মান গুলো অনেক ভাল রয়েছে। এখান থেকে ক্রয় অনেক টাকা সাশ্রয়ী হয়েছে। বাজার করতে এসে বকুল তলা বয়েজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম বলেন, আমি একটু আগে বাজার থেকে ৬০ টাকা দিয়ে এক হালি ডিম কিনে এখানে এসে দেখি ৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ন্যায্য মুল্যে কৃষি পন্য বিক্রির উদ্যোগটি চমৎকার। বাজারে একটা সিন্ডিকেট থাকায় জনগনের একটি দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আর এমন উদ্যোগ নিলে মনে হয় বাজার সিন্ডিকেট ভেংগে যাবে পাশাপাশি আমাদের জন্য উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে বিশুদ্ধ জামালপুর কৃষি সংগঠনের সভাপতি শামছুল হক জানান, বাজারে শাকসবজিসহ নিত্য পণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে আমরা সরাসরি কৃষকদের থেকে কৃষি পন্য সংগ্রহ করে সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্দ্যেশ্যে নিয়ে মানুষের কাছে ন্যায্যমুল্যে কৃষি পন্য বিক্রি করে যাচ্ছি। আর এতে বাজার থেকে অনেক সাশ্রয়ী মুল্যে কৃষি পন্য পাচ্ছে সবাই। সবার সার্বিক সহযোগিতা পেলে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে৷ সিন্ডিকেট না ভাঙা পর্যন্ত এভাবে ন্যায্য মুল্যে কৃষি পন্য বিক্রি করে যাব। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে তা ভাঙতেই এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাজার মনিটরিং টিমের সহায়তা চেয়েছেন তারা।
এদিকে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া জানান, সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা এ কার্যক্রম শুরু করেছি। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি পন্য সংগ্রহ করে আমরা ন্যায্য মুল্যে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছি। যতদিন সাধারণ মানুষ আমাদের সহযোগিতা করবে ততদিন আমরা এভাবে সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য বিভিন্ন স্থানে আরো কয়েকটি পয়েন্ট করে এ কার্যক্রম করে যাব। আমরা এ তিনদিনে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এখানে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ভেজাল মুক্ত সব গুলো। এতে আমাদের লাভ না হলেও কিছু লস হচ্ছে ।