নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ভূমিদস্যু রিপন ও তার পরিবার স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে খুব পরিচিত মুখ।
নিজে সংসদ নির্বাচনে উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকলেও ঘনিষ্ঠদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখেছেন।।
রিপনের ছোট ভাই জায়েদুল ইসলাম লিটন নবীনগর যুবলীগ সহ সভাপতি, চাচা হানিফ মিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি। চাচাতো ভাই আলমগীর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
হাসিনা সরকারের এমপি সহ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের সাথে তাদের ছবি এখনো ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
কিন্তু ৫ আগষ্টের পর রাতারাতি হয়ে গেছেন বিএনপি পন্থী, শুধু তা ই নয় বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ পদে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছে ।
জানা যায় আওয়ামী সরকার আমলে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কর্মীদের বেধড়ক পিটিয়ে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন এই রিপন মিয়া।।দলীয় মিটিং মিছিল এবং ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিতো প্রভাবশালী এই আওয়ামী নেতা।
গত ১৬ বছরে আওয়ামী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ মাটি ব্যবসা ও ভূমি দখলের মাধ্যমে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সরকার পতনের কিছুদিন আগেও নিজের ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি নোকিয়া দুলালকে মেরে হাত পা ভেঙে দেওয়ার কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নজরুল খন্দকার কে দীর্ঘদিন মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে প্রেরনসহ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এলাকা ছাড়া করে রেখেছিল।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল নিয়েছিল এই কুখ্যাত রিপন ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা।প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিল যারা নৌকায় ভোট দিবে না তারা যেন কেন্দ্রে না আসে। ৫ ই আগষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের খবর পেয়ে নিজে নিজেই বিএনপি রাজনীতিতে যোগদান করেন।
উপজেলা কৃষক দল নেতা মামুনুর রশীদকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে কাইতলা ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি পদে বসায় রিপনের চাচাতো ভাই সফিকুল ইসলাম শফু কে,যে কি না রিপনের নির্দেশে দীর্ঘ দিন যাবত জমি দখল, চাদা আদায় ও সন্ত্রাসী হামলার মূল নায়ক হিসেবে কাজ করতো।
এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা সজিব, ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ,সাব্বির, বশির গন,। যারা রিপনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
অথচ তাদের সবাই এখন নিজেদের বিএনপি পরিবারের পরিচয় দিয়ে দখল বানিজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী সন্ত্রাসী ও দখল বানিজ্য বিষয়ে দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীর কঠোর নির্দেশনা থাকলেও কতিপয় অসাধু নামধারী বিএনপি নেতা যেন আওয়ামী দোষরদের মুল্যবান এসেট হিসেবে গ্রহন করেছেন।