নির্যাতনের ভয়ে গ্রাম ছাড়া শত পরিবারে ঈদ কাটছে নিরানন্দে।
কাইতলা উত্তর ইউনিয়নে রিপন মিয়ার মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ভয় ও সন্ত্রাসী হামলা থেকে বাচতে প্রায় শতাধিক পরিবারের পুরুষরা গ্রাম ছাড়া,ফলে সেই পরিবার গুলোতে চলছে আর্তনাদ।বাড়ি জুরে শুধু নিস্তব্ধতা। কত কয়েক বছরের মতো এবারও বাড়ি ফিরেনি তারা।
ঈদের দিন সরজমিনে দেখা যায় একাধিক পরিবারে কান্নার আওয়াজ। স্বজনদের আহাজারি রিপন মিয়া তাদের সুখ শান্তি নষ্ট করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী সাইফুল ও তার পরিবার।সদ্য বাবা হওয়া সাইফুলের স্ত্রী জানান গত ২৫ মার্চ মিথ্যা মামলা দেখিয়ে তার স্বামীকে পুলিশে দিয়েছে রিপন মিয়া।সাইফুল এখনো কারাগারে রয়েছেন।তার স্ত্রী জানান ১০ দিন হয়েছে সন্তানের বয়স তাই এখনো দেখতে যেতে পারেনি। কান্নাজরিত কন্ঠে আরএ বলেন নবজাতকের প্রথম ঈদ বাবা থেকেও পাশে পায়নি।
একইভাবে অলি মুন্সির পরিবারেও ঈদ কাটছে আর্তনাদের মধ্য দিয়ে। রিপনের একাধিক মিথ্যা মামলায় তিনিও রয়েছেন কারাগারে।
ভুক্তভোগী মেহেদী দম্পতিরও একই চিত্র।পরিবারের সবাই একসাথে ঈদ আনন্দ করতে না পারায়।ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান-“ঈদের খুশির মাঝেও জমে থাকা কষ্টের অনুভূতি কাউকে বুঝানো যায় না।সব বাধা পেরিয়ে একসাথে ঈদ আনন্দের স্বপ্ন দেখেন তারা।
এছাড়াও স্বপরিবারে গ্রাম ছেড়েছেন অনেকে।চেনা মানুষজন ও বসত ভিটে ছেড়ে তাদের ঈদ আনন্দও দীর্ঘ শ্বাসে পরিণত হয়েছে।
একটাই চাওয়া অত্যাচারী শাসক থেকে কবে মিলবে মুক্তি।
রিপন বাহিনীর হামলার শিকার প্রায় ১৫ জন পঙ্গু পরিবারেও ঈদ কাটছে নিরানন্দে। দুটি পা চলাচলক্ষম নয় বলে যেতে পারেনি ঈদগাহে।
সন্তানদের চোখের জ্বলে ভাসছে বাবার সাথে কাটানো নানা স্মীতিময় জীবন কাহিনি। মজিবুর,আমিরুল,সোহেল পঙ্গু হওয়ার ৮ মাস পার হলেও তাদের চিকিৎসা চলমান থাকায় নিরানন্দেই কাটছে ঈদ।
একইভাবে রিপন তান্ডবে মৃত হামদু মিয়ার পরিবারেও নেই ঈদ আনন্দ।হামদু মিয়া ছেলে ও একমাত্র ভাই মনিরকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করে রেখেছে ফলে অন্যান্য সদস্যদেরও ঈদ আনন্দ হারিয়ে ফেলেছে।
একই চিত্র এস আই সেলিম,মলাই মিয়া,নজরুল মেম্বার, মুখলেছ মেম্বার পরিবারে।সবার ঈদ আনন্দ এক অত্যাচারী শাসকের হাতে নষ্ট হয়েছে।
গ্রাম ছেড়ে থাকা কাইয়ুম খন্দকার বলেন শত্রুরা কেড়ে নিয়েছে আমাদের ঈদ আনন্দ।প্রশাসন বা সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ আমাদের সহায় সম্পত্তি উদ্ধার সহ বসত ভিটায় বসবাস অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার। তবেই আমাদের ঈদ আনন্দ উপভোগ্য হবে।
এরকম কয়েকশত পরিবারের করুন আর্তনাদ যেন পৌছাচ্ছে না নবীনগর প্রসাশন ও সংশ্লিষ্টদের নিকট।
অতিদ্রুত তাদের বসত ভিটে ফেরত সহ মিথ্যা হামলা মামলা থেকে প্রতিকার চাই ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।