জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া 
সম্প্রতি তার এসব অপকর্ম প্রকাশ পেলে তদন্তে নামে প্রশাসন। যাতে তার দুটি এগ্রো ফার্মের নামে ১৫’শ কানি জমির তথ্য মিলে। তবে রিপন বাদী হয়ে বিভিন্ন মামলার আর্জিতে তার ৩/৪ হাজার কানি জমি থাকার তথ্য দেয়া হয়।
যেভাবে জমি গ্রাস, অভিযোগের পাহাড়: প্রকাশ দাস বুটাই (৬৮)। নারুই শিবনগর গ্রামের এই বৃদ্ধের ৪ কানি জমি কম দামে কিনে নিতে চেয়েছিলেন রিপন। এতে ব্যর্থ হয়ে জোর করে জমি কেড়ে নেন। এ ঘটনায় রিপন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বুটাই। বুটাই অভিযোগ করেন, জমি বিক্রি করতে তিনি প্রথমে রিপনের কাছেই গিয়েছিলেন। কিন্তু রিপন উপযুক্ত মূল্যে জমি কিনতে রাজি না হওয়ায় তিনি নারুই গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ভূঁইয়ার কাছে ২০২২ সালের আগস্টে প্রতিকানি ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা করে ৪ কানি ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। জাকির তার কাছ থেকে জমি বুঝে নিয়ে ভোগদখল করতে থাকেন। এর ৪ মাস পর ডিসেম্বরে বুটাইকে ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের ফিরোজ মেম্বারের মাধ্যমে ডেকে পাঠান রিপন। বুটাই বিষয়টি গ্রামের কয়েকজন সর্দারকে জানিয়ে তার সঙ্গে যেতে বলেন। কিন্তু তার সঙ্গে রিপনের কাছে যাওয়ার সাহস করেননি কেউ। পরে তিনি একাই যান। রিপন তাকে জমি বিক্রি করায় ভয়ভীতি এবং বকাঝকা করেন।
পরদিন জমি বিক্রির স্ট্যাম্প এবং চেক জমা দিতে বলেন। রিপনের কথা মতো স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে গেলে সেগুলো রেখে আরও কয়েকটি খালি স্ট্যাম্পে বুটাইয়ের স্বাক্ষর রাখেন। ওদিকে জাকির মেম্বার ক্রয়কৃত জমি চাষ করতে গেলে রিপনের বাহিনী জাকির ও তার শ্রমিকদের জমি থেকে উঠিয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে জাকির ওই জমি রিপনকে ছেড়ে দেন। তারপরও জাকির ও বুটাইয়ের বিরুদ্ধে সালিশ বসায় রিপন। এতে বুটাইকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আর জমিতে কাজে যাওয়া ৪ শ্রমিক আবু হোসেন ভূঁইয়া, সাজিদ ভূঁইয়া, কামরুল ইসলাম ও কাজী কামালকে গলায় গামছা বেঁধে ক্ষমা চাওয়ার আদেশ দেয়া হয়। এরমধ্যে সালিশে উপস্থিত কামরুল ও সাজিদ সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নেন।
কামাল ও আবু হোসেন পরবর্তীতে ক্ষমা না চাওয়ায় রিপনের নির্দেশে তার বাহিনী এ দু’জনকে বার আউলিয়ার বিলে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে এবং তাদের বাজারে আসা নিষেধ করে দেয়। বুটাই তার জমি বিক্রির টাকা পাননি এখনো। উপরন্তু টাকা পেতে সহায়তা করার কথা বলে রিপনের সহযোগী মোকাররম, সজীব, বশির, আবদুল গনি ৫০ হাজার টাকা নেন তার কাছ থেকে। এরপর টাকা পেতে তাদের কাছে ধরনা দিতে থাকলে বুটাইকে ধীরেনের মতো হত্যা করার হুমকি দেয় রিপন বাহিনীর এই সদস্যরা। বুটাইয়ের মতো কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের অনেক মানুষই আজ সর্বস্বান্ত। ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের দরিদ্র সোহেল মিয়ার সাড়ে ৫ শতক জমি গ্রাস করেছেন রিপন। এটি ছাড়া তার আর কোনো জায়গা নেই। জায়গাটি দিতে গড়িমসি করায় তাকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রিপনের আদালতে তার বিরুদ্ধে ৫ দফা রায় হয়। জরিমানার টাকা না দেয়ায় ভেঙে দেয়া হয় তার ঘরবাড়ি। শেষ পর্যন্ত সোহেল গ্রাম ছেড়ে কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নেন। এই পরিস্থিতিতে সোহেলের বাবা ১০ শতক জায়গা বিক্রি করে জরিমানার ৯০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু সোহেলের ওই জমি আর ফেরত দেননি রিপন।
সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের ৬ কানি জমি কিনে নেয়ার নামে দখল করেন রিপন। জমির দাম চাওয়ায় তিনি ৩ বছর ধরে গ্রামছাড়া। একই গ্রামের আমিরুলের ৭৯ শতক জমি দখলে রিপন তার লোকজনকে চাষাবাদ করতে পাঠিয়ে দেন। প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়ে পাকা ধান কেটে নেয়ার চেষ্টা চালানো হয়। পরে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ এনে ফসল রক্ষা করেন আমিরুল। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমিরুলের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য অলিউল্লাহ মুন্সির ওপর ক্ষিপ্ত হন রিপন মিয়া। রিপনের আদালত থেকে অলি উল্লাহকে ৪৬ লাখ এবং আমিরুলকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কেটে দেয়া হয় অলিউল্লাহর বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা ও জমি। জরিমানা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে চাঁদাবাজির মামলা দেয়া হয় অলি ও আমিরুলের বিরুদ্ধে।
নশরাবাড়ির তোফায়েল মিয়া রিপনের দখল করে নেয়া ২৩৫ শতক ভূমি উদ্ধারের আবেদন করেছেন জেলা প্রশাসকের কাছে। এর আগে তাদের আরও ৮ কানি জমি কৌশলে কিনে নেয় রিপন। জমির বদলা জমি দেয়ার কথা বলে ৩২ শতক আয়তনের একটি জমি দিয়ে সেটিও পরে রিপন দখল করে নেন। ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের জাহার ও তারা মিয়ার ৪৭ শতক জমি, মো. রাসেল মিয়ার সাড়ে ৩৬ শতক জমি দখলের অভিযোগ দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকের কাছে। ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মমিন মিয়ার ১০ কানি জমি দখল করে নেন রিপন। মোমিনের ছোট ভাই সিঙ্গাপুর প্রবাসী রাসেল মিয়া জানান, রিপনের ভয়ে তার ভাইদের কেউ কথা বলার সাহস পান না।
এমন অভিযোগ গ্রামের শত-সহস্র মানুষের। ব্রাহ্মণহাতা ব্রিজ থেকে নাটঘর ঋষিপাড়া পর্যন্ত আনুমানিক তিন-চার হাজার কানি জমির মালিক এখন রিপন। প্রায় ৬০ একরের বেশি জমির মালিকানা নিয়ে জমিদার আমল থেকে বিরোধ নারুই এবং নোয়াগাঁও গ্রামের মধ্যে। নারুইকে ৪০ পার্সেন্ট আর নোয়াগাঁওকে ৬০ পার্সেন্ট ভাগ দিয়ে ওই বিরোধ মীমাংসার নামে পুরো ৬০ একর জমি হাতিয়ে নিয়েছেন রিপন মিয়া। এই জায়গার একটি অংশে সড়ক নির্মাণের ঠিকাদারকে ভাড়া দিয়ে মাসে কয়েক লাখ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন রিপন। স্থানীয়রা জানান, নারুই থেকে নাটঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর দেড়-দু’কিলোমিটার অংশ রিপনের দখলে। পাড় থেকে শুরু করে নদীর ভেতরে ৫০/৬০ ফুট পর্যন্ত দখল করে নিয়েছেন। সরকারি খালও মিশিয়ে দিয়েছেন তার দখলী জমিতে। বন্ধ হয়ে গেছে ইউনিয়নের ৮/১০টি সেচ প্রকল্প। তার দখলে বদলে গেছে ইউনিয়নের ভূ-মানচিত্র। দখলী জমিতে গড়ে তুলেছেন বিসমিল্লাহ এবং হেলদি নামে এগ্রো ফার্ম। দীঘি কেটে নাম দিয়েছেন ঝাড়– দীঘি।
আতঙ্কের জনপদ কাইতলা উত্তর: কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা, নারুই, রুদ্রাক্ষবাড়ি, নশুরাবাড়ি, গুরুহিত, ধনাশী গ্রামের মানুষ স্বাভাবিকভাবে কথা বলাও ভুলে গেছেন। কখন কোন কারণে কার ওপর বিরাগ হন রিপন সেটাই তাদের সর্বক্ষণের চিন্তা। ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের রাসেল মিয়া বলেন- ঘরের ভেতরও রিপনকে নিয়ে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। শুনে যদি কেউ রিপনের কানে দেয়। তোফায়েল আহম্মদ বলেন- আমার বয়স ৬৫। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত ভয় পাইনি। আতঙ্কে অনেক লোকজন ঘর থেকেই বের হন না।
কে এই রিপন: ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের এক সাধারণ কৃষক মো. শামসু মিয়া ওরফে গোলাম কাদের। তার ১২ ছেলেমেয়ের মধ্যে একজন রিপন মিয়া। দরিদ্র পরিবারের সন্তান রিপনের দু’ভাই সহিদ ও ফারুক রাজমিস্ত্রি,আরেক ভাই ভাঙ্গারি ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন। রিপন ১৯৯১ সালে নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ’৯৩ সালে নবীনগর কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকায় গিয়ে প্রথমদিকে আদম ব্যবসায় জড়িত হন। এরপর শ্বশুরের হাত ধরে গার্মেন্টসে চাকরি নেন। বর্তমানে তিনি স্পাইডার নামে ওই গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সাবেক ইউপি সদস্য অলিউল্লাহ জানান, একটি টিনের ঘর ছাড়া আর কিছুই ছিল না রিপনদের। ৮ ভাই যে থাকবে সেই ব্যবস্থা ছিল না। মাঠে গরু চড়ানো আর কৃষি কাজ করতেই দেখেছি রিপনের বাবাকে। এখন ব্রাহ্মণহাতাতে তার দু’তলা এবং তিনতলা দুটি পাকা বাড়ি। কোটি টাকা দামের ল্যান্ডক্রুজার গাড়িতে করে রিপন আসেন বাড়িতে। রিপন ‘সাব’ বলেই ডাকতে হয় সবাইকে।
গরু চোর ধরার নামে কোটি কোটি টাকা জরিমানা আদায়ের মিশন: ৫ বছর আগেও গ্রামে কোনো নাম নিশানা ছিল না রিপনের। ২০১৯ সালের জুন মাসে গরু চোর ধরার নামে অ্যাকশনে নেমে আলোচনায় আসেন তিনি। লু্িঙ্গ হাঁটুর উপরে বেঁধে সেই অ্যাকশনের নেতৃত্ব দেন রিপন নিজেই। ওই ঘটনায় ত্রাসের নায়ক হিসেবে আবির্র্র্ভূত হন রিপন। এর আগে ২০১৮ সালে গ্রামের হাদিমের ছেলে মোস্তাকিম হত্যায় আপসরফা করার ক্ষেত্রে তার নাম ছড়ায় কিছুটা। হত্যা ঘটনা নগদ ১০ লাখ টাকা ও জমিজমা লিখে দেয়ার শর্তে রফাদফা করা হয়। কিন্তু টাকা বা জমিজমা কোনোটাই মিলেনি। এ বিষয়ে নিহতের আত্মীয় লিলি মেম্বার জানান, রিপন বিচার না মানলে গ্রামে থাকা যাবে না বলে তাদের আপসে বসতে বাধ্য করেন। গরু চোর ধরার নামে একদিনে ৫২টি গরু নিজের হেফাজতে নিয়ে যান রিপন। এ সময় গ্রামের অনেক বিশিষ্ট মানুষও তার নির্যাতনের শিকার হন। স্থানীয়রা জানান, এসব গরুর মধ্যে মাত্র ১টি গরু চুরির বলে সাব্যস্ত হয়। এসব গরু রাখার অপরাধে প্রায় ৫ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেন রিপন। ধরে নিয়ে যাওয়া গরুও বিক্রি করে দেন। নারুই গ্রামের জিল্লুর রহমান জানান, তার ৫টি গরু নিয়ে যান রিপন। গরু ফেরত আনতে গেলে উপযুক্ত প্রমাণ দেয়ার কথা বলেন রিপন তাকে। উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে যাওয়ার পরও তার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এই টাকা দেন তিনি রিপনের বাহিনীর তাজু সর্দারের হাতে। এ ছাড়াও গরু ফিরে পেতে রিপনের দলবলের আরও অনেককে টাকা দিতে হয় জিল্লুর।
রিপনের আদালত: আলোচিত রিপনের আদালতও আছে। এই আদালত থেকে নানা অজুহাতে গ্রামের মানুষের কাছ থেকে আদায় করা হয় লাখ লাখ টাকা জরিমানা। ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের বাছির মিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন-রিপন ও তার বাহিনী গরু কেনার অপরাধে রিপনের আদালতে নিয়ে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে। জরিমানার টাকা দিতে সময় নেয়ায় তাকে ৭ দিন তালাবদ্ধ করে ঘরে আটকে রাখা হয়। জরিমানার ১ লাখ টাকা দেয়ার পর ঘরের তালা খুলে দেয়া হয়। ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোমিন মিয়ার ভাই নাসিরের বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। পরে ক্ষমা চেয়ে জরিমানা থেকে রক্ষা পান মোমিন। নানা অজুহাতে মোটা অঙ্গের টাকা জরিমানা আদায়, নানাভাবে নির্যাতনের আদেশ দেয় রিপনের আদালত। মামলা দিয়েও হয়রানি করেন গ্রামের মানুষকে। মলাই ও নশু মিয়া নামের ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের দু’জনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে মাদক মামলা দেয়া হয়। অথচ এ দু’জন কখনো সিগারেটে টান দেননি বলে গ্রামের মানুষ জানান। নবীনগরের চরগোসাইপুর গ্রামের মো. আবু হানিফ ও তার ৩ ছেলের বিরুদ্ধে ৪৩৯ শতাংশ জমি বিক্রি করার কথা বলে ৪ কোটি টাকা নেয়ার অভিযোগে রিপন তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দেন। জেলা শহরের ভাদুঘরের মো. আলমগীরের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা কর্জ নিয়ে পরিশোধ না করার অভিযোগে মামলা দেন রিপন মিয়া। আলমগীর পাল্টা মামলায় অভিযোগ করেন- জোর করে তাকে উঠিয়ে নিয়ে ৩টি অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এবং ২টি চেকে স্বাক্ষর রাখেন রিপন।
অবশেষে রিপনের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। গত ৬ই জুলাই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন সেখানে গিয়ে রিপনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সরজমিন তদন্ত করেন। তিনি বলেন- খাসজমি, নদী তার দখলে রয়েছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখছি। তার ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির পরিমাণ কতো সেটি দেখা হচ্ছে। ব্যক্তি মালিকানা জমি ৬০ বিঘার উপরে থাকতে পারে না। নদী দখলের বিষয়ে তহসিলদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা পরিমাপ করে জানাবে। তবে সাদা চোখেই দেখা যাচ্ছে নদী দখল হয়েছে। তদন্তকালে এই কর্মকর্তার কাছে ২৭ জন লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এর বাইরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে আরও অনেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে রিপন ৫৫ মিনিটের একটি ভিডিও বক্তব্য দেন। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সেন্দ, নাটঘর ও কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের তহসিলদার এবং নবীনগর ও সদরের এসি ল্যান্ডের বক্তব্য তিনি শুনবেন। পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন- তার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে। সেগুলো তদন্ত হচ্ছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন- এব্যাপারে আমরা বিস্তারিত তদন্ত করছি। যেখানে যেখানে ব্যত্যয় পাওয়া যাবে সেখানে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।